সিলেট জেলায় মাদকের থাবার মুলহোতাকে খুঁজে পাওয়া সহজ ছিলো। আমার অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রশাসনের নজরে আসে সিলেটের মাদকের রমরমা ব্যবসা। অবশেষে সকল তথ্য প্রমান পাওয়ার পর গত ১৬ এপ্রিল শনিবার সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে সিটি ওয়ার্ড কমিশনার আজাদের কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসার আড়ালে রমরমা মাদক ব্যবসার গোমড় প্রকাশ্যে আসে এবং পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান মাদক ও অস্ত্রসহ ওয়ার্ড কমিশনার আজাদ ও তার ৫ সহযোগিকে গ্রেফতার করে। আরে কুচক্রী ,আজাদের বিশেষ সহযোগি ছাত্রলীগ জেলা সভাপতি নাজমুল ইসলাম খবর পেয়েই আত্মগোপনে চলে যায় বলে তাকে নাগালে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, ওয়ার্ড কমিশনার আজাদের উপরেও আরো কেউ আছে যার ক্ষমতার কারনে সে ধরা ছোয়ার বাইরে। সন্দেহের তীর চলে যায় সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের দিকে। পূর্বেও সে অনেক কুর্কীর্তির সাথে জড়িত ছিলো বলে লোকমুখে প্রচলিত আছে। কিন্তু প্রতিবারই সে কোন না কোন ভাবে পার পেয়ে যায়। এবার আমার সন্দেহ আরো বেশি আনোয়ারুজ্জামানের দিকে পোক্ত হওয়ার অন্যতম কারন হলো, ওয়ার্ড কমিশনার আজাদ বিপুল মাদক ও অস্ত্রসহ হাতেনাতে ধরা পরার পর এবং উপযুক্ত প্রমান থাকার পরেও ১৫ই ফ্রেরুয়ারী সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামানের সরাসরি হস্তক্ষেপে এত তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া। সোর্স থেকে খবর পাই সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান তার জামিনের জন্য কথা বলেছে।
এতে আর বলার অবকাশ নেই যে নাটেরগুরু আর কেউ নয় স্বয়ং সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান ই। তা না হলে এত জটিল একটি মামলা হতে এত সহজে জামিন কখনোই সম্ভব নয়। কিভাবে মাদকের থাবা থেকে মুক্তি পাবে সিলেট ,যেখানে সরকারি ক্ষমতাসীন লোকের হাতে জিম্মি মানুষের জীবন। মাদকের মরন থাবা থেকে বাঁচতে হলে এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এসব দূর্নীতিবাজ মাদককারবারিদের বিরুদ্ধে।