আনসার বাহিনীর দরকার আছে কি?!
আনসার ও ভিডিপি বাহিনী তৈরি করেছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। উদ্দেশ্য ছিল সেকেন্ড লাইন অফ ডিফেন্স হিসাবে এদের একাংশকে ব্যবহার করা ও গ্রামাঞ্চলে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা। যেহেতু সম্পদ স্বল্পতার কারনে বড় সেনাবাহিনী তৈরি সম্ভব ছিল না তাই আনসারদের মাধ্যমে জনগণের একটা অংশকে ন্যূনতম সামরিক প্রশিক্ষণ দিয়ে ফোর্স মাল্টিপ্লায়ার হিসাবে দাড় করানো।
গত ১৬ বছর এই বাহিনীটিকে পূর্ণ মাত্রায় দলীয়করণ তো করা হয়েছেই এদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। যেখানেই যেমন বিমান বন্দর, পাসপোর্ট অফিসে আনসার নিয়োগ দেয়া হতো সেখানেই এরা ঘুষ ও উপরির মচ্ছব বসিয়ে ফেলতো। এদের যথেচ্ছ দুর্নীতি করার সুযোগের বিণিময়ে লীগ সরকারের পায়রবি করা নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছিল। আর জিয়াউর রহমানের নাম নেয়া ছিল নিষিদ্ধ।
এখন যেহেতু উপরি ও ঘুষ-দুর্নীতি এদের বন্ধ হয়ে যেতে পারে তাই অসৎ কর্মকর্তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। এদের সংঘবদ্ধভাবে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মাঠে নামানো হয়েছে নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য। একটু ধৈর্য় ধারন করে কয়েক মাস পরও এরা দাবী দাওয়া দিতে পারতো যখন অর্থনীতি একটু ভালোর দিকে যেতো। কিন্তু এদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
বন্যার এই ভয়াবহতার মাঝে, চারদিকে গত ১৬ বছরের জঞ্জালের স্তুপের মধ্যে তা নাহলে কেন এরা এখনি সচিবালয় ঘেরাও করতে গেছে? সকল স্তরের মানুষ এখন ব্যাংক,অর্থ ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঠিক পথে নিয়ে আসায় প্রানান্ত চেষ্টা করছেন। এসময় আনসারদের এসব বাদড়ামি মেনে নেয়া যায় না।
এই বাহিনীরই দরকার নেই। যাদের দেশের চরম সংকটে মায়া মমতা নেই তাদের কোন অধিকার থাকারও প্রয়োজন নেই। বাড়াবাড়ি করলে এদের কঠোর হাতে দমন করে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হোক। এই দেশ কতো আর এমন নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বেতন ভাতা দিয়ে পুষবে?
[ আমি সবসময় গন প্রতিরক্ষা বা সকল সক্ষম নাগরিককে সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের বিরোধি। কারন, কয়েক লাখ আনসারকে সাধারন কিছু প্রশিক্ষণ দিয়ে আজ এই অবস্থা। ১৯৯১-৯৬ সময়কালেও এরা বিদ্রোহ করেছিল। কারন তাদের দুর্নীতির রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করা হয়েছিল। কনভেনশনাল সশস্ত্র বাহিনী বা প্যারা মিলিটারি ছাড়া কারো অস্ত্র প্রশিক্ষন দেয়া আত্মহত্যার সামিল]