দু’টি ঘটনা:
১। গাজীপুরে একজন ইমাম হিল্লা বিয়ের নামে এক নারীকে বিয়ে করে মসজিদের সিঁড়িতে যৌনকর্ম করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
২। টঙ্গীতে তাবলীগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন মুসল্লির মৃত্যু।
আমাদের পবিত্র বিশ্বাসের সাথে এগুলো কেমন ফাজলামি? এদের পোশাক, চেহারা সুরত তাঁদের কথানুযায়ী ধর্মীয়।কাজ কি ধর্মের শিক্ষার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?
মসজিদে সহবাস! ইসলামের ইতিহাসে এমন কোন ঘটনা আজ পর্যন্ত শোনা যায়নি।
তারা যে এমন বর্বর আচরণ করেছেন তা কি তাদের শিক্ষার সাথে যায়? নাকি এমন স্যাডিস্টিক শিক্ষাই তারা আমাদের ধর্মীয় শিক্ষা লয়ে পেয়ে আসছেন?
ধর্ম নিয়ে যারা জ্ঞান রাখেন তারা এই দুটি ঘটনায় কি পদক্ষেপ নেন তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের শিক্ষা,রীতি, বিশ্বাস, আধ্যাত্মিকতার যদি বিকাশ হয় তাহলে এগুলো ঘটছে কিভাবে? কোন কোন খাতে শূন্যতা রয়েছে তা দূর করার দায়িত্ব কার?
একজন ইমাম কিভাবে ইমামতির দায়িত্ব পান যে কিনা এমন বর্বরতায় নিজেকে ব্যাপৃত করতে পারেন? কে দেখবে এটা? এধরনের মানসিকতা কেন ইমামের মধ্যে এলো তার প্রতিকার কি? এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কি আমাদের আলেম সমাজের সুনির্দিষ্ট বক্তব্য ও দিকনির্দেশনা কাম্য নয় ?
আমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করবে কে?
তাবলীগ শান্তিপূর্ণ পথে ধর্মের আদর্শ প্রচার করে আসতো বলে এ যাবত দাবী করা হয়েছে। এখন সেখানে মানুষ হত্যা করে কিসের শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে বা হবে?
ধর্মীয় উগ্রবাদ, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ইসলামে নিষেধ। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেন এগুলোর বিরুদ্ধে ইসলামী নেতৃবৃন্দের কার্যকর পদক্ষেপ আমরা দেখছি না।
এগুলো চলতে থাকলে অন্য ধর্মের অনুসারী তো বটেই খোদ মুসলমানরা কি ভাববে?
বিষয়টির আশু সমাধান, নির্দেশনা কাম্য।
আল্লাহ আমাদের কুপমন্ডুকতা, হিংস্রতা, অবিমৃষ্যকারীতা থেকে রক্ষা করুন।