প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রস্তাবে না করে দিয়েছে বিএনপি

মানে হলো আরো একজন হাসিনা লোডিং।

অথচ এতো এতো রক্ত দেওয়ার পর আমাদের আশা ছিলো, অন্তত আর কিছু না হোক, দুর্নীতি না কমুক, অন্তত আরেকজন হাসিনা যাতে না হয়, সেই আইনটা করতে যাইতে।

আলী রিয়াজ স্পষ্ট করে বলেছিলেন, এই সিস্টেম থাকলে আবার ফ্যাসিবাদ আসবে। এইটা সংস্কার করতে হবে।

বিএনপি আজ স্পষ্ট জানাইয়া দিছে এই সংস্কার ওরা করতে দেবে না।

৯০ এর সাথেও এই দলটা প্রথম গাদ্দারি করেছিলো।

২৪ এর সাথেও প্রথম বেঈমানিটাও এরাই করলো।

বাট ফ্যাক্ট ইজ, এরা গাদ্দারি করে বারবার আওয়ামীলীগকে ফেরত আনে।

১৯৯৬ তে কেয়ারটেকার বাতিল করছিলো ক্ষমতায় থাকার জন্য। পারে নাই। মাঝখান দিয়ে আওয়ামীলীগ আসছে।

২০০৬ এ আবার এরা বিচারকের বয়স বাড়াইয়া বাটপারি করার চেষ্টা করে।

পারে নাই। মাঝখান দিয়ে ১/১১ আইনা নিজেরাও ডুবসে, দেশটাকেও ডুবাইসে।

২৪ এ ভাবছিলাম এরা কিছু অন্তত শিখছে। বাট আজ প্রমাণ হলো, কিছুই শেখে নাই। কিছুই বদলায় নাই। এরা হাসিনার বিরোধিতা করতো মূলত নিজেরা হাসিনা হওয়ার জন্যই।

নাগরিক পার্টির অবশ্যই এই সংস্কারে পক্ষে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে এই দাবিতে আন্দোলন করতে হবে।

যদি এই সংস্কার ইউনূস করতে না পারেন, আজ থেকে ১০ বছর পর আবার জুলাই আসবে।।আবার গণহত্যা হবে। আরো ২০০০ ছাত্র জনতাকে প্রাণ দিতে হবে।

ছাত্র জনতার রক্তের উপর দিয়ে উঠে আসা দল হিসেবে নাগরিক পার্টিকে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমানোর প্রশ্নে কোন আপোষ করা যাবে না।

ডক্টর ইউনূসের জন্যও এটা টেস্ট কেস।

যদি একটা রাজনৈতিক দলের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা না কমান, যদি এই মিনিমাম সংস্কারটাও না করেন, তাহলে প্রমাণ হবে আপনারা জনগণের সরকার না। একটা রাজনৈতিক দলের সরকার।

অন্য কোন খাতে কী সংস্কার হবে না হবে জানি না। কোন রাজনৈতিক দলও যদি একমত না হয়, তাও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমান। হাসিনা হওয়ার রাস্তা বন্ধ করেন।

এই দেশ আর কোন জুলাই এর ভার সহ্য করতে পারবে না।