গোপালগঞ্জে লীগের তাণ্ডব; ইন্টেরিম ও অন্যরা?
৪ টি গুরুত্বপূর্ণ দিক
***
(১)
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় থাকলেও, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ স্তরে এখনো শেখ হাসিনার আমলের নিয়োগপ্রাপ্তরা রয়ে গেছেন। ফলে তাদের “গোপন লয়ালটি” ও পক্ষপাতের আশঙ্কা প্রবল- এমন আশঙ্কা বিভিন্ন মহল থেকে বারবার বলা হচ্ছে।
১৬ জুলাই (২০২৫) গোপালগঞ্জে এনসিপির সভা বানচাল করতে বর্বরতা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। হামলা ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতা সেই পক্ষপাতের অভিযোগকে আরো জোরালো করে তুলেছে। যদিও এর সত্যমিথ্যা খতিয়ে দেখতে হবে।
আগামী নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাাসনের ভেতরে ঘাঁপটি মেরে থাকা আওয়ামী লীগের “গুপ্তলীগ” সদস্যদের সরাতে না পারলে নিজেরাই দুর্বল হয়ে পড়বে।
(২)
গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগের তাণ্ডবে এটা স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালালেও স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এখনো সংগঠিত এবং সহিংসতার সক্ষমতা রাখে।
এটি ইঙ্গিত করে যে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে পুলিশের সঙ্গে গণহত্যায় অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দলীয় কাঠামো এখনো ভেঙে পড়েনি; বরং হয়তো তারা “ঘুরে দাঁড়ানোর” চেষ্টা করছে।
এখনই তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করা না গেলে আগামী নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়ার আশঙ্কা প্রবল।
(৩)
গোপালগঞ্জের ঘটনায় এটাও স্পষ্ট যে এনসিপি এখন দুর্বল, কিন্তু প্রতীকী শক্তি বহন করে।
সেনাবাহিনী এপিসি দিয়ে তাদের উদ্ধারের মানে, এনসিপিকে এখনো রাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
হামলার পর ব্লকেড ডেকে তারা আবারও জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে।
এনসিপি পুনর্গঠনের পথে রয়েছে। তারা আবারও ছাত্ররাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসতে পারে।
বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক শক্তি একযোগে এনসিপির ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে—এটি ইতিবাচক।
(৪)
সারা দেশে ছোট আকারের হলেও ব্লকেড হওয়ার মানে হলো, গণআন্দোলনের আগুন নিভে যায়নি, বরং আগুনের নিচে ছাই চাপা রয়েছে।
যেকোনো সময় জনগণ বিক্ষোভে ফেটে পড়তে পারে। বিশেষ করে যদি ফের হামলা বা প্রশাসনিক পক্ষপাত চলে।