একাত্তর বেহাত হয়ে যাওয়া মানে পরাধীনতা?

এবার আসেন পরাধীনতার অর্থটা একটু আরেকবার পাঠ করি। দেশে কে নির্বাচনে যাবে কে যাবেনা এটা যখন অন্য আরেকটা দেশ নির্ধারণ করতে শুরু করে, তখন তাকে পরাধীনতা বলে।

আপনার মন্ত্রী সভায় কে মন্ত্রী হবে আর কে এমপি, সকল নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কে হবে, সেটা যখন দিল্লীর সরকার নির্ধারণ করে, তখন সেটাকে পরাধীনতা বলে।

লাজ-লজ্জার মাথা খেয়ে আওয়ামী পররাষ্ট্র মন্ত্রী যখন প্রকাশ্যে বলে ‘ভারতবর্ষ সরকারকে বলে এসেছি তারা যেনো হাসিনা সরকারকে আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় রাখে’, তখন এটাকে পরাধীনতা বলে।

যখন বাংলাদেশে গুম হওয়া সুখরঞ্জন বালিকে ভারতে পাওয়া যায়, তখন সেটাকে পরাধীনতা বলে।

যখন বিডিআর তদন্তে সরকার কর্তৃক নিয়োজিত তদন্ত কর্মকর্তা ক‍্যাপ্টেন সোবায়েলকে সরকারী বাহিনীই গুম করে রাখে ৩৬৩ দিন,,কারণ তার তদন্তে অন্য বিশেষ কিছু শক্তির সম্পৃক্ততা বেরিয়ে আসছিলো, তখন সেটাকে পরাধীনতা বলে।

যখন দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে পোস্ট করার অপরাধে সরকারী দলের গুন্ডারা আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে মেরে ফেলে, তখন এটাকে পরাধীনতা বলে।

যখন টিপাইমুখ অভিমুখে লং মার্চ ঘোষণা দেয়ার পর ইলিয়াস আলীকে গুম করে ফেলা হয়, তখন সেটাকে পরাধীনতা বলে।

আরো এক হাজার উদাহরণ দেয়া যাবে কি করে একাত্তর বেহাত হয়েছিলো সেটার। একাত্তর মঞ্চতো করা দরকার ছিলো সেদিন।

আপনারা সেদিন আপনাদের রোল প্লে না করে দেশের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করায়, দেশের সাধারণ ছাত্র-জনতা চব্বিশের অভ‍্যুত্থান ঘটিয়েছে। যে চব্বিশ এসে আসলে একাত্তরের পূনর্জাগরন ঘটিয়েছে। ক্ষমতা আর লুটপাটের নেশায় অন্যদের হাতে দেশের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়ার মতো জঘন্য কাজ যে খুনী করেছে, তাকে তাড়ানোর মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার পক্ষশক্তি দেশটা রিক্লেইম করেছে।

ফলে আংকেলস, দেশ দাঁড়িয়ে আছে একাত্তরের উপর। চব্বিশ শুধু তাকে মজবুত করেছে। দেশ থেকে একাত্তর হারায়নি, স্রেফ খুনী আর তাঁর চল্লিশ ডাকাত পালিয়েছে।