একটি উস্কানিমূলক উল্লাস, এবং আসন্ন অশুভ সংকেত

নিঝুম মজুমদারের কণ্ঠে সুরাহ রহমানের বিখ্যাত আয়াত জপ করে হাদির মৃত্যুকে প্রায় উদযাপন করা—কি ভয়ংকর হঠকারিতা। কিংবা আনিস আলমগীরের নেহারি খেতে খেতে হাদির ওপর সংঘটিত এই ন্যাক্কারজনক হামলাকে এক ধরনের প্রচ্ছন্ন উল্লাসে পরিণত করা—এসব আচরণ আগামী দিনের জন্য গভীরভাবে অশুভ ইঙ্গিত বহন করে।

এই মুহূর্তে দেশে সিভিল অর্ডার ভেঙে পড়া কেবল সময়ের ব্যাপার মাত্র। দু-একটি স্ফুলিঙ্গই যথেষ্ট—বারুদের স্তূপে আগুন লাগলে পুরো দেশ পুড়ে ছারখার হয়ে যেতে পারে। যে দাবানলের বারুদ বইছে চারদিকে, তাকে থামানোর শক্তি কার আছে—আল্লাহই ভালো জানেন।

জনাব ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে শনাক্ত করা এবং এই হামলার পেছনের কুশীলব ও প্রকৃত কারণ উদঘাটন করা না গেলে, এই ক্ষোভ ও রাগ প্রশমন করা কঠিন হবে। তখন এই দাবানলের অসংখ্য লিখিত-অলিখিত টার্গেট তৈরি হবে, এবং দেশ ধীরে ধীরে অরাজকতার দিকে ধাবিত হবে।

আমার দৃঢ় ধারণা, বাংলাদেশের বিরোধী কোনো নেশন-স্টেইট এই মুহূর্তের ভলনারেবিলিটিকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতিকে আরও উসকে দিতে পারে। পছন্দের উর্দি-ধারীরা হয়তো মিশরের অভিজ্ঞতার মতো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত। তাই জুলাইয়ের নেতৃত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ—দয়া করে সতর্ক থাকুন। সিস্টেমিক রেশনালিটি হারাবেন না।

নিঝুম মজুমদার, আনিস আলমগীর এবং তাদের বিদেশি প্রভুরা এই মুহূর্তে উসকানি দিতে চায়, কারণ তাদের উদ্দেশ্যই হলো জুলাই-পরবর্তী ইকুয়েশন ও ইকুইলিব্রিয়াম পরিবর্তন করা। ওসমান হাদি সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী একজন মানুষ। তিনি যখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন, তখন তার আদর্শকে সম্মান জানিয়ে কাজ করাই হবে তার প্রতি প্রকৃত সম্মান।

আল্লাহ তাকে রক্ষা করুন।