২০১০ সাল থেকে শাহী ঈদগাহ নিয়মিত যাতায়াত। আমাদের ছাত্র জীবন কেটেছে আওয়ামী দুঃশাসন দেখে দেখে। কিছু কুলাঙ্গার ছিল “পান থেকে চুন খসলেই” শাহী ঈদগাহ বাজারটাতে মিছিল নিয়ে অরাজকতা চালাতো!ওরা চাদাবাজি, মাদক , সন্ত্রাস দিয়ে একটা সম্ভাবনাময় বাজারকে ৩০ বছর পিছিয়ে দিছে! (জেলা পরিষদ মার্কেট ,স্কুল মার্কেট করার আগেই টাকা নিয়ে দোকান বরাদ্দ করে ভাগাভাগি করে পেলছে!সিন্ডিকেট করে দোকানের সালামি বৃদ্ধি করা থেকে শুরু করে কিনা করছে? ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে গেছে রাজনৈতিক পাতি নেতাদের কাছে ,অসংখ্য নবাগত ব্যবসায়ীরা শাহী ঈদগাহ বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বন্দর বাজার চলে গেছে).
একটা গনতান্ত্রিক দেশে যখন দেখতাম একটা দল শুধু মিছিল মিটিং করছে ,আর কোন দল কিছুই করতে পারছে না! যেহেতু সাংগঠনিক সারাউন্ডিং বড় হয়েছি এসব মনে পীড়া দিত!
বালুচরের বাবুল আঙ্কেলসহ কয়েকজনকে দেখতাম বিভিন্ন জাতীয় দিবসে স্কুলের শহীদ মিনারে ফুলের ঢালা নিয়ে আসতো. বিএনপি সম্ভবত ২০১৩ /১৪ সালের পরে আর ফুলের ঢালা নিয়েও আসতে পারেনি,প্রকাশ্যে মিছিল করতে পারেনি.
যখন দেখলাম বিএনপি শাহী ঈদগাহ স্কুল মাঠে জনসভা করছে, কিছুদিন আগে জামায়াতে ইসলামী সীরাতুন্নবী (সাঃ) মাহফিল করেছে। বিষয়গুলো খুবই ভালো লেগেছে।একটা দেশের এমন চিত্র থাকা উচিত ,যে যার মত প্রকাশ করবে ,তার আদর্শ প্রচার করবে স্বাধীন ভাবে. জনগণ তার পছন্দ মতো দল ,মত বেছে নিবে.
আওয়ামীলীগের যদি স্বাভাবিক সিস্টেমে ক্ষমতাচ্যুত হতো তাহলে প্রত্যাশা থাকতো তারাও মিছিল করুক কিন্তু তাদের জন্য সেই প্রত্যাশার পরিস্থিতি নেই. তবে ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা বাংলাদেশ থেকে এতো তাড়াতাড়ি বিদায় হবে না.
শাহী ঈদগাহ থেকে শুরু করে টিলাগড় বিএনপি এবং জামায়াতের জনসমর্থন বেশি থাকলেও নেতৃত্বের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে! কালাম গ্রুপ আর আজীম গ্রুপের কারণে যারা কালাম গ্রুপে স্থান পাচ্ছে না ,তারা আজীম গ্রুপে গিয়ে আশ্রয় পাচ্ছে!
আশা করছি এই অঞ্চলে নেতৃত্বের ঘাটতি পূরণ করে ,বিএনপি জামায়াতের এক অপ্রতিরোধ্য ঘাটি হিসেবে পরিচিতি পাবে.
নেতৃবৃন্দের কাছে আকুল আবেদন থাকবে ,আওয়ামীলীগ যেই সিস্টেমে বাজার পরিচালনা করে গেছে আপনারা সেই সিস্টেম থেকে বের হয়ে নতুন এক সিস্টেমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ,প্রিয় বাজারটাকে রোল মডেলে পরিনত করবেন.