যেসব কথা ঘুরতেছে, যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন আপনাকে জঙ্গি ট্যাগ দেবে।
তা ভাই, গত ১৭ বছর দেশে জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে কম মানুষ মারছে?
কারা মারছে? জাতিসংঘের কমিশন তো ছিল না এই ১৭ বছর।
আপনার বাহিনী মারছে।
সোজা কথা। জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে মানুষ মারতে মানবাধিকার কমিশন লাগে না। লাগলে হাসিনাই সবার আগে এটা নিয়ে আসত ঢাকায়।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কোথাও যুদ্ধ লাগায় না।
অত ক্ষমতা ওদের নাই।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এর কাজ একটাই।
মানবাধিকার নিয়ে কথা বলা।
মানবাধিকার কমিশন কী করে?
কথা বলে।
বরং সরকার, র্যাব বা আর্মি যদি আপনাকে জঙ্গি ট্যাগ দিয়েও দেয়, এরা বরং আপনার পক্ষেই কথা বলবে।
জুলাইতে জাতিসংঘ কাদের পক্ষে ছিল?
আমাদের পক্ষে।
জুলাইতে জাতিসংঘ যদি হুমকি না দিত, আপনাদের বাহিনী আপনাকে কী করত বলে মনে করেন?
এসব ভুলে যাইয়েন না। মাথা দিয়ে চিন্তা করেন।
মানবাধিকার কমিশন কারা চায় না?
যারা গুম, খুন করে, তারা।এই যে বিভিন্ন পক্ষ মাঠে, এরা হাসিনার গুম খুনের সময় কই ছিল?
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কি যুদ্ধ বাঁধায়?
না। বরং যুদ্ধ চলে বা খুব খারাপ অবস্থা ,এসব দেশেই ওরা কাজ করে।
কথা বলে।
অনেকের ধারণা, প্যালেস্টাইনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কিছু করতেছে না।
ভুল।
আপনি ওদের রিপোর্ট পড়েন।ওরা প্রতিটি এসব নিয়ে কথা বলে। আবারও বলি, ওদের কাজ এই কথা বলাটাই। এইটুকুই ওদের ক্ষমতা।
বাংলাদেশে গত ১৭ বছর রাস্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে গুম খুন করেছে।
মানবাধিকার কমিশন তো ছিল না, বাঁচাতে পারছেন?
ইলেকশনের পর আবারও কোন দল যাতে ঐসব শুরু করতে না পারে, এই জন্যই এই কমিশন ঢাকায় দরকার।
দানব আপনার দেশেই আছে।
এই দানবকে জাতিসংঘই হুমকি দিয়ে চাপ দিয়ে সোজা বানাইসিল আগস্টে।জাতিসংঘ যদি চাপ না দিত, হাসিনা আরও ৫০ হাজার লোক মারতে পারত।
হাসিনা পালাইসে। দানবরা কিন্তু পালায়নি।
এই দানবরা আবার যাতে দানব না হয়ে উঠতে পারে, জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন এই জন্যই দরকার।
যেই চাপটা হাসিনাকে ৪ আগস্ট দেওয়া হইছিল, সেই চাপটা সারা বছর দিতে পারলে হাসিনা কি মানুষ মারতে পারত?
পারত না।
তাইলে হুট করে ইসলাম গেল, ইসলাম গেল রব কেন উঠল?
এই কমিশন ঠেকানোর জন্য।
এই কমিশন হলে কাদের ক্ষতি?
যারা আপনাদের মানবাধিকার ব্রেক করতে চায়।
হেফাজতের সমাবেশে গনহত্যা কারা চালাইছিল? জাতিসংঘ?
আল্লামা সাঈদির রায়ের পর দুই দিনে ২০০ লোকরে গুলি করে মারা মারছিল? জাতিসংঘ?
আপনার দেশের দানব বাহিনী করেছে। জাতিসংঘ করেনি।
এই দানবরা এতই ইসলাম প্রেমী হলে এত লোক মারল কেন? এত মুসলমান মারল কেন? জুলাইয়ে আমাদের উপর গুলি করলো কেন?
জাতিসংঘ ই বরং আমার আপনার উপর চলা গুলির প্রতিবাদ করেছে, কথা বলেছে।
এই কথাটাই ওরা এখন ঢাকায় বসে বলতে চাইতেছে।
সাধারণ মানুষ হিসেবে আমাদের খুশি হওয়া উচিত।
দানবদের আতঙ্কিত হওয়া উচিত ছিল।
মানবাধিকার এর পক্ষে থাকেন।সামনে কঠিন সময়। হাসিনার মত ক্ষমতা দিয়ে কাউকে বসাইলে আবার আরেকটা রক্তগঙ্গা লাগবে সরাইতে।
মানবাধিকার কমিশন এই রক্তগঙ্গা ঠেকাতে না পারলেও, অন্তত আমার আপনার পক্ষে কথা বলতে পারবে।
মানবাধিকার কমিশনের বিরোধিতা করে রক্ত খাওয়া কুমিরদের আরও বেপরোয়া করে তুইলেন না যেন!!