Blog

Home > Blog

শান্তি-সম্প্রীতির পথে বাধা ধর্মীয় উগ্রবাদ ও উগ্র জাতীয়তাবাদ

সম্প্রতিকালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে যুদ্ধ-বিবাদ লেগে আছে তা দুটো ভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে; ধর্মীয় উগ্রবাদ অথবা উগ্র জাতীয়তাবাদ।১৯৪৭-এ ভারতীয় উপমহাদেশেও বিভাজন হয়েছিল ধর্মের উপর ভিত্তি করে। বর্তমানে ভারতীয়

মৌলবাদ বনাম মানবতাবাদ

মৌলবাদ মানে গোঁড়া সম্প্রদায়। ইংরেজি ফান্ডামেন্টালিজম শব্দের বাংলা অর্থ “মৌলবাদ” । ধর্মের আদি/মূল নীতি বা নিয়মগুলোর কঠোর অনুসরণই হল মৌলবাদ। এই ধারনাটির উৎপত্তি খ্রিস্টধর্মের প্রটেস্টান্ট থেকে। খ্রিস্টধর্মের ঊন-বিংশ শতাব্দীর শেষ

আইনের চোখে সবাই সমান হলেও বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এটা কেবলই কেতাবি কথা। এখানে টাকাওয়ালা ক্ষমতাবানদেরকে আইন স্পর্শ করতে পারে না। তারা সকল সরকারের আমলেই নিজেদেরকে মানিয়ে নিতে পারেন অঢেল টাকার বিনিময়ে

বসুন্ধরা গ্রুপ দেশে বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পাঁচটি মিডিয়া রয়েছে। তাদের আছে একটি টেলিভিশন, দুইটি বাংলা জাতীয় দৈনিক, একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক। আছে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। ভূমিধস‍্যু হিসেবেও খ‍্যাতি রয়েছে।

মানুষের জানার আগ্রহ যেমন ঈশ্বর বা ধর্ম সৃষ্টি করেছে; একইভাবে অর্জিত জ্ঞান মানুষকে যুক্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ধর্মবিশ্বাস থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করেছে

বাংলাদেশে বিশ্বাস-অবিশ্বাসের পাশাপাশি রাজনৈতিক ধর্ম ও ধর্মনিরপেক্ষতার দ্বৈরথ আমরা লক্ষ্য করছি মুক্তিযুদ্ধের আগে পাকিস্তানি কলোনিকাল থেকে। সভ্যতার ঊষালগ্নে থেকেই আমাদের ভারতবর্ষে ধর্মের সঙ্গে নাস্তিকতা ও ইহজাগতিকার বিরোধ ছিল। পাকিস্তান পর্বে

মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া যে এই দেশে বড়ো “অপরাধ” তা কাওসার সাহেব হয়তো বুঝতে পারেননি?

মাওলানা কাউসারের লক্ষ্মীপুরের এক গ্রামের মসজিদের ইমাম ছিলেন তিনি। বয়স্ক এই মানুষটি সাধারণ ইমামদের থেকে একটু আলাদা। দেশ ও সমাজের প্রতি তার দরদ একটু বেশিই ছিল। সেই দায় ও দরদ

তাজউদ্দীন আহমেদ- মোর দ্যান এ ফ্রিডম ফাইটার 

তাজউদ্দীন আহমেদ এর নাম থেকে কখনো মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা সম্ভব না। তাজউদ্দীন আহমেদ ছিল মুক্তিযুদ্ধের আসল ডিরেক্টর এবং সবসময় সক্রিয় ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমেদ দের মত কিংবদন্তি দের অবদান আমাদের

তাহলে কি আমরা জিয়াকে “বাঙ্গালী সেকুলার” বলতে পারি না?

পোশাক শিল্প খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের নিম্নবিত্ত সমাজে প্রলয়ংকরী অর্থনৈতিক, যৌন, এবং সামাজিক বিপ্লব ঘটে যায়। নিম্নবিত্ত নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আসে এবং অসহায় কাজের মানুষ এবং মনিবের সম্পর্ক রিনেগোশিয়েটেড হয়।

এখনো সময় আছে, সবকিছু ভুলে ঐক্যবদ্ধ না হলে তোমাদের কোন অস্তিত্ব থাকবেনা

ওয়াকার তার আপুকে বলেছিলেন, আপনি যান, পরিস্থিতি একটু অনুকূলে আসলে আপনাকে নিয়ে আসবো। সেই অনুকূল সময়টা চলে এসেছে। গণধোলাইয়ের ভয়ে যে ওয়াকার তার আপুকে নিজের সিদ্ধান্তে পাঠিয়ে দিয়েছিল, সেই ওয়াকার

একেকটা মাদ্রাসা বিশেষ করে হেফজখানাগুলো যেন একেকটা টর্চার সেল

আপনারা শুনলে আশ্চর্য হবেন কিন্তু এটাই সত্যি,হেফজখানার শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড ধরা হয় শাস্তির বৈচিত্র্য আর মাত্রার উপর। যে হেফজখানা যত অভিনব পদ্ধতিতে শাস্তি দিতে পারে শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ডে সে তত উর্ধ্বে। এগুলো

ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদ নিয়ে যারা লেখালেখি করেন তারা দুটি সমস্যা এক করে দেখার পক্ষে?

সাম্প্রদায়িকতার অর্থ হলো, এক ধর্মের মানুষ বিশেষ বিশেষ কারণে অন্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষদের ঘৃণা, বৈষম্য বা আক্রমণের লক্ষ্যে পরিণত করা। পক্ষান্তরে ধর্মীয় মৌলবাদী বলতে তাদেরকে বোঝানো হয় যারা নিজেরা ধর্মের

ডক্টর ইউনূস গতকাল একটা রেড লাইন ক্রস করেছেন।

উনি বলেছেন, আওয়ামীলীগ ইলেকশনে আসবে কি না, এইটা তারা ডিসিশন নেবে। এই কথা বলার কোন অধিকার ডক্টর ইউনূসের নাই। কারণ, আওয়ামীলীগ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি না, সেই ডিসিশন এই দেশের

যারা সবচাইতে বড় সন্ত্রাসী তারাই বিশ্বজুড়ে দাপাচ্ছে ‘সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ’ নাম দিয়ে!

পুঁজিবাদ সম্প্রসারণে ঔপনিবেশিক ব্যবস্থা খুবই সহায়ক হয়েছিলো। আর উপনিবেশগুলোতে রাজনৈতিক ক্ষমতা সম্প্রসারণে মিশনারীদের বিভিন্ন মাত্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো, ভূমিকা ছিলো স্থানীয় ধর্মীয় নেতা ও ক্ষমতাবানদেরও। আবার ঔপনিবেশিক শাসন বিরোধী ভূমিকাতেও মিশনারী ও স্থানীয় কোনো কোনো ধর্মীয় নেতার ভূমিকাও দেখা গেছে। উত্তর উপনিবেশকালে প্রান্তস্থ দেশগুলোতে খুঁটি ধরে রাখতে, সমাজতন্ত্র ঠেকাতে পুঁজিবাদী কেন্দ্র বা সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ধর্মীয় শক্তি ব্যবহারে ব্যাপক সাফল্য দেখিয়েছে। মূলধারার চার্চ সাম্রাজ্যবাদের খুঁটি হিসেবেই বরাবর ভূমিকা পালন করেছে। একদিকে মুসলিম রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখা অন্যদিকে ইহুদীবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতার মধ্য দিয়ে তেলসমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদ নিজেদের দীর্ঘমেয়াদী অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে। মুসলিম প্রধান দেশগুলোতে ইসলামপন্থী দল ও ধর্মীয় নেতাদের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র বিরোধী আতঙ্ক সৃষ্টি করবার কাজ সহজ ছিলো। বস্তুত এই ধর্মপন্থীরা এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় সামরিক বেসামরিক স্বৈরশাসকদের সমর্থন দেবার মাধ্যমে সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্যের পথও সুগম করেছে। ৮০ দশক থেকে ইসলামী ‘মৌলবাদী’ তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার সাথে প্রান্তস্থ দেশগুলোতে বিপন্নদশা ও সাম্রাজ্যবাদ নিয়ন্ত্রিত বিশ্ব রাজনীতি সম্পর্কিত। যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ৮০ দশক পর্যন্ত ধর্মপন্থী শক্তিগুলোকে সমাজতন্ত্র ও সবরকম মুক্তির লড়াই–এর বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে। এই পর্যায়ের সর্বশেষ বড় উদাহরণ আফগানিস্তান। প্রথমে মুজাহেদীনদের মাধ্যমে আফগানিস্তানে সোভিয়েত সমর্থিত সরকার উচ্ছেদ করে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসময় আফগান মুজাহেদীনদের সবরকম পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে তারা। প্রশিক্ষণ দিয়েছে, অস্ত্র দিয়েছে, অর্থ দিয়েছে। অর্থ দিয়েছে সৌদী আরবও। ইউএসএইড সরবরাহ করেছে ইসলামী উন্মাদনা সৃষ্টির মতো বই, শিশুদের পাঠ্যপুস্তক। যার মধ্যে সোভিয়েত সৈন্যের চোখ উপড়ে ফেললে বেহেশতে যাবার প্রতিশ্রুতিও ছিলো। সিআইএ–র এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নে মাঠের ভূমিকা পালন করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। সামরিক শাসনের মাধ্যমে জেনারেল জিয়াউল হকের মতো একজনকে অধিষ্ঠিত করা সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের খুব কাজে দিয়েছে। একপর্যায়ে আকস্মিকভাবে বিশাল শক্তি নিয়ে উদিত হয় তালিবান। মুজাহিদীনদের বিরুদ্ধে যাদের অস্ত্র, সরঞ্জাম, প্রশিক্ষণ এবং কৌশলগত সমর্থন সবই যোগান দিয়েছে সেই যুক্তরাষ্ট্রই। তালেবানরা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখলের সূচনা করে ১৯৯৭ সালের ২৪ মে। ঠিক তার আগের দিন যুক্তরাষ্ট্রের বৃহৎ ব্যবসা জগতের মুখপাত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল আফগানিস্তান নিয়ে একটি সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। সেখানে